বরগুনায় মৃত মহিষের মাংস বিক্রি এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের মধ্যে দুইজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা শুক্রবার এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কসাই সোহেল ও রিপনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, মহিষের মালিক রিপনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বরগুনা পৌরসভার স্যানিটারি বিভাগে পক্ষ থেকে কর্মরত মাংসের সঠিক মান নিশ্চয়তা দিতে সিল প্রদানকারী হুমায়ূন কবিরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মহিষের মালিক রিপন এবং বরগুনা পৌরসভার স্যানিটারী বিভাগে পক্ষ থেকে কর্মরত মাংসের সঠিক মান নিশ্চয়তা দিতে সিল প্রদানকারী হুমায়ূন কবিরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বরগুনার মাংস বাজারে একটি মহিষ জবাই করা হবে বলে বৃহস্পতিবার বরগুনায় মাইকিং করা হয়। এসময় প্রতি কেজি মহিষের মাংস চারশ টাকা করে বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়। অপরদিকে, মহিষটি অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মারা গেছে।
মহিষটি মারা যাবার পরপরই কসাই রিপন সোহেলকে ফোন করে জানায়। পরে সোহেলের নির্দেশে মহিষটি রাত সাড়ে ১২টার দিকে জবাই করে সকালে মাংস বিক্রি শুরু করে সোহেল।
পরে গত রাতে কসাই সোহেল এবং রিপনের কথোপকথনের রেকর্ডিং শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ফাঁস হয়ে গেলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে কসাই সোহেল, রিপন ও মহিষের মালিক রিপনকে আটক করে। এরপর দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠায়।
মৃত মহিষটির প্রায় একশ ২০ কেজি মাংশ বিক্রি করা হয়। এরপর জানাজানি হলে মাত্র দুই কেজি মাংশ ফেরত নিয়ে আসেন দুই ক্রেতা।
0 comments:
Post a Comment