Saturday 13 August 2016

9:53:00 pm
allbanglanewspaperbangladesh
জিহাদি বই ও পেট্রোল বোমা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছে চার যুবক। একটি দোকানে কিছু ‘জিহাদি’ বই ও বোমা আছে বলে র‌্যাবকে জানায় চার যুবক।
তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে র‌্যাব। উদ্ধারও করা হয় কিছু জিহাদি বই ও পেট্রোল বোমা।
কিন্তু এই চার যুবকের অতি উৎসাহে র‌্যাবের সন্দেহ হয়। আটক করা হয় তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা স্বীকার করে আসল ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারির চতালিয়া বাজার এলাকায়। অতি উৎসাহী ওই চার যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর এএম আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার রাতে স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি কল্লোল কুমার দত্তের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারির চতালিয়া বাজার থেকে চার যুবককে আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় পাঁচটি পেট্রোল বোমা, পাঁচটি চকলেট বোমা ও কিছু ‘জিহাদি’ বই।
আটকরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানার কালীদাসেরবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর নবীর ছেলে শরিফুল আজম রিপন (২৩), একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে ইসমাইল হোসেন রুবেল (১৯), আবু সিদ্দিকের ছেলে তারেক রহমান (১৯) ও দক্ষিণ মান্দারি গ্রামের মৃত শফি উল্যার ছেলে মো. শহীদ (২৫)।
শুক্রবার রাতে আটক শরিফুল আজম রিপন ও ইসমাইল হোসেন রুবেল র‌্যাবকে ফোন করে জানায়, চন্দ্রগঞ্জ দক্ষিণ মান্দারী চতালিয়া বাজারে মো. রুবেলের (২২) দোকানের ভেতর বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদি বই মজুদ আছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ওই বাজারে যায় র‌্যাব। তখন তথ্যদাতা শরিফুল আজম রিপন ও ইসমাইল হোসেন রুবেলকে র‌্যাব সঙ্গে করে অভিযুক্তের দোকানে নিয়ে যায়।
র‌্যাব ওই দোকানের চৌকির নিচ থেকে পাঁচটি পেট্রোল বোমা, পাঁচটি চকলেট বোমা এবং কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করে।
এসময় তথ্যদাতা শরিফুল আজম রিপন ও ইসমাইল হোসেন রুবেলের অতি উৎসাহের বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে।
র‌্যাব বলছে, তারা স্বীকার করে যে, দোকানদার রুবেলের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জেরে চারজনে মিলে নাটক সাজিয়ে র‌্যাবকে মোবাইল ফোনে জানায়।
পরে এ দুজনের স্বীকারোক্তি ও সনাক্ত মতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুজনকে মান্দারী এলাকা থেকে আটক করা হয়।

0 comments:

Post a Comment