Friday, 22 July 2016

8:21:00 pm
দুদকের করা অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন হাইকোর্ট। রায়ের পরের দিন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরলেই আপিল করা হবে।

২২ জুলাই, শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরো অনেকে।

রায় সম্পর্কে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, 'তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় তারেকের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। তিনি যেদিন দেশে ফিরবেন, সেদিনই আমরা আপিল করব।'
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রায় দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে ফাঁসানোর জন্যই এই রায় দেওয়া হয়েছে। যখন কোনো জাতীয় ইস্যু সামনে আসে, তখনই সরকার দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়।
তারেক রহমান নির্দোষ বলে দাবি করেন খন্দকার মাহাবুব হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির সময়কার গাজীপুরের টঙ্গিতে বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় হারবিন পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের বাংলাদেশি এজেন্ট নির্মাণ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কনসালটেন্সি ফি বাবদ সাড়ে ৭ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করে। এই অর্থ সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেন-দেন হয়। যার সঙ্গে তারেক রহমানের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই।'
তিনি বলেন, 'এই অর্থ লেন-দেন হয়েছে বিদেশে। মূলত কোম্পানিটি তাদের বাংলাদেশি এজেন্ট নির্মাণ ইন্টারন্যাশনাল মাধ্যমে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দিয়েছেন। দুদকের স্বাক্ষী হিসেবে নির্মাণ ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী খাদিজা ইসলাম এ বিষয়ে আদালতে লিখিত স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। তারকে রহমান নির্দোষ।'
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর করা অর্থ পাচার ‍মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুদক অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এই মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। অপরদিকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিলো।

0 comments:

Post a Comment