Saturday, 30 July 2016

8:48:00 pm
নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ প্রায় শেষ। আগস্টের ১৩ তারিখের পর থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়া মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু সহসাই জাতীয় দলে ফেরা হচ্ছে না তার।
 জানা গেছে, জাতীয় দলে ফিরতে হলে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার পুরোটাই শেষ করতে হবে আশরাফুলকে। আগস্টের ১৩ তারিখ শেষ হচ্ছে তিন বছর। জাতীয় দলে ফিরতে তাই আরো অন্তত দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে এই সুপারস্টারকে।
দুই বছরের আগেও অবশ্য আশরাফুলের জাতীয় দলে ফেরার একটা সুযোগ তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। এই দুই সংস্থা যদি অনাপত্তি দেখায়, তবেই পারফর্ম করতে পারলে দুই বছরের আগেই আবার জাতীয় দলের জার্সি দেখা যেতে পারে আশরাফুলের গায়ে।
আপাতত ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন আশরাফুল। সেখানে অনানুষ্ঠানিক ক্রিকেট খেলছেন তিনি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের পর দেশে ফিরবেন তিনি।
মূলধারার ক্রিকেটে না থাকলেও আশরাফুল নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেছেন সব সময়। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আবার জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা এখনো হারাননি। ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্ম করে আবার জাতীয় দলে ফেরার পথ তিনি করতে নিতে চান বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
আশরাফুল ফেরার ক্ষুধার্ত হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির জাতীয় ম্যানেজার বলেন, ‘ওকে খেলার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে থাকতে দেখেছি। ও ওর ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছে। আমার মনে হয় ফেরার পর ও অনেক রান করবে। আশরাফুলের একমাত্র সমস্যা হতে পারে ওর ফিটনেস।’
নাজমুল আবেদীন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালদের কোচ। জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার ফর্মহীনতায় পড়লে তার পরামর্শ নেন। আশরাফুলের ব্যাপারে তার মন্তব্য তাই ফেলে দেবার মতো নয়।
ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা আছে বলেই গত কয়েকমাস ধরে সকাল- বিকাল নিয়মিত জিম করছেন আশরাফুল। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নানা রকম অনুশীলন করছেন তিনি। নাজমুল আবেদীন মনে করেন, আশরাফুল ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করলে দারুণ কিছু হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার খ্যাত আশরাফুল। পরে তা প্রকাশ্য স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমাও চান তিনি। এরপর ম্যাচ ফিক্সিংয়ে বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আশরাফুলকে।
পরে তার আবেদনের ভিত্তিতে তিন বছর শাস্তি কমানো হয়। বাকি পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছর কমতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের ‘সুনজর’ পেলে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে আশরাফুলের উপর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে তিনি যদি পারফর্ম করতে পারেন, জাতীয় দলে ফেরা তখন কঠিন হবে না বলেই প্রত্যাশা তার ভক্তদের।

0 comments:

Post a Comment